আমরা যারা বিসিএসের পড়াশোনা করি
তারা সবাই
কিন্তু পৃথিবীর বড় ছোট
বিষয়াবলী ভালই
জানি। পৃথিবীর বড় ফুল কোনটা, পৃথিবী সবথেকে উঁচু
মানুষ কে, ক্ষুদ্রতম মানুষের সাইজ কত। কিন্তু যদি
প্রশ্ন করা
হয় পৃথিবীর সব থেকে
বড় পুরুষাংগ কোন মানুষের? আমি জানি
তুমি তোমার
হাতের ইয়া
মোটা বিসিএস বইটা প্রথমে বন্ধ করবে। তারপর আমার
কপাল বরাবর
নিরিখ করে
ছূড়ে মারবে। বলবে শালা
বদের বাক্স, আমি কি
পৃথিবীর পুরুষ
মানুষের প্যান্ট খুলে দেখে
বেড়াব কার
সাইজ সব
থেকে বড়।
আস্তে মামু! বেশী ভাব নিও
না। এই জিনিস যদি
তোমার হইত
তাহলে আমি
নিশ্চিত তুমি
প্যান্ট খুলে
দৌড় লাগাইতা গিনেস বুকে
নাম লেখাইতে। আমাদের পুরান
ঢাকাসহ সারাবাংলাদেশের ইলেক্ট্রিকের
খাম্বা গুলোতে এক ধরণের
বিজ্ঞাপণ দেখা
যায়, বিশেষ জিনিষের সাইজ
বৃদ্ধির জন্য
মালিশ করার
তৈল গ্যারান্টিসহ বিক্রয় করা
হয়। তাও মাত্র ৩ থেকে ৭ দিনের মধ্যে
ফলাফল। আমাদের সরকার বাহাদুর কিন্তু এক
মাসের ভিতর
এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল দিতে
পারেন না। যাই হোক, আমি যদি
পৃথিবীর সেই
পুরুষটি হতাম, যার বিশেষ
সাইজ রিমার্কেবল। তাহলে কি
হত বলত। আড়ালে আবডালে আমাকে নিয়ে
আলোচনা হত। আমি হতাম
টক অব
দ্যা টাউন।
কিন্তু এই বিশেষ জিনিসের সাইজ
বেশী মাত্রাতিরিক্ত হলে তা অনেক সময় ঝামেলার কারণ হয়ে
দাঁড়ায়। সেই পুরুষটির নাম, জোনাহ ফ্যালকন। তার বিশেষ
জিনিশের সাইজ
স্বাভাবিক অবস্থায় ৯ ইঞ্চি
এবং উত্তেজিত অবস্থায় ১৩.৫ ইঞ্চি। সানফ্রান্সিস্কোর বিমানবন্দরে
TSA তাকে আটকে
দেয়া হয়। বারবার জানতে
চাওয়া হয়
সে তার
প্যান্টের ভিতর
কি লুকিয়ে রেখেছে যা
তাদের ডিটেক্টরকেও ফাঁকি দিতে
সক্ষম হয়েছে? সে যতই বলে এটা
তার পুরুষাঙ্গ। কিন্তু তারা
মানতে নারাজ। তারা এটাকে
পাইপ বম্ব
হিসেবে সন্দেহ করে। তার প্যান্টের উপর
পাউডার জাতীয়
কিছু ছড়িয়ে
দেয়। সে নিরুপায় হয়ে
দেখতে থাকে। একসময় অবশ্য
তাদের ভূল
ভাঙে এবং
ফ্যালকনকে ছেড়ে
দেয়।
হাফিঙ্গটন পোস্টে প্রকাশিত খবর। আশা করি কেউ
বিরক্ত হলেন
না। জানার কোন শেষ
নেই।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন