আর্কিটেক্ট মালিক তার বাবার মৃত্যুর খবর শুনে ফ্রান্স থেকে তিউনিসিয়াতে তার মা সার'র সাথে দেখা করতে আসে। স্বামীর মৃত্যুর পর সারা তার নিজের দেখাশোনা এবং একা সময় কাটাতে হাতের কাজ করানোর জন্য বিলাল নামের একটা যুবক আর ওয়াফা নামের একটা মেইড নিজের জন্য এ্যাপোয়েন্ট করে। মালিক এখনো তার মায়ের কাছে তার সবচেয়ে বড় সত্যটি প্রকাশ করতে পারেনি যে সে সমপ্রেমী। প্রথম দেখাতেই সে পেটানো মাংসাসী শরীরের বিলালকে পছন্দ করে ফেলে। আর কোন একভাবে আন্দাজ করে যে বিলালও সমপ্রেমী হতে পারে। তাই সে মালিক আর সার্ভেন্টের ব্যাবধান রেখে তাকে পরখ করতে থাকে বিভিন্নভাবে।
মালিক তিউনিসিয়াতে একটা মসজিদের ডিজাইনের উপর কাজ করছে আর তার কো লেসবিয়ান ওয়ার্কার শিরিন মালিককে তার সন্তানের বাবা হওয়ার জন্য অনুরোধ করে। মুভিটির নাম "দ্যা স্ট্রিং" অনেকগুলো ছোট ছোট সূতোর গিট বন্ধন নিয়ে যার সবগুলো কোন না কোনভাবে মালিকের সাথে জড়িত। তিউনিসিয়ার মুসলিম সমাজে মালিকের পক্ষে খোলামেলা সেক্স করার জন্য পার্টনার পাওয়া মুসকিল হওয়াতে সে জিগলোর সাথে সেক্স করে নিজের যৌবন শান্ত করে আর বিলালকে সাথী হিসেবে পাওয়ার জন্য সম্ভব্য সবকিছু করতে থাকে এবং একটা সময়ে পেয়েও যায়। সারা মালিক আর বিলালকে একসাথে দেখে ফেললে মালিক তার মায়ের কাছে সব কিছু স্বীকার করে। স্বামীর পর ছেলেই তার সব তাই ছেলের খুশীর জন্য সারা বিলালকে মালিকের পার্টনার হিসেবে মেনে নেয় এবং শিরিনের সন্তানকে বাবার পরিচয় দিয়ে মালিক, শিরিন, বিলাল, সারা সবাই একসাথে একটা সুখের জীবন উপভোগ করতে থাকে। একটা সময় মুভি দেখতে দেখতে মনে হবে, মুভির নামের সাথে মুভির কাহিনীর কোন মিল নেই কিন্তু ধীরে ধীরে কাহিনী গড়াতে থাকলে বোঝা যায় নামের সাথে পুরোপুরি জাস্টিস না করা হলেও নামকরন খুব একটা খারাপ হয়নি। বিলাল এবং মালিকের এরোটিক সেক্স দৃশ্যগুলো এক একটা পিস অফ আর্ট। যথেস্ট মার্জিত এবং রুচিশীল।
তিউনিশিয়ার লোকেশাগুলো আপনার মনকে প্রফুল্লতায় ভরে দিবে। মুভিটিতে মুসলিম ধর্মকে এবং এর আচার আচরণকে খুব সুন্দর এবং মার্জিতভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আর সারা'র অভিনয়ের ব্যাপারে কি বলবো, আমি তার অভিনয় পছন্দ করি "ওয়ান্স আপন এ টাইম ইন দ্যা ওয়েস্ট এবং পিংক প্যানথার" থেকে। যদিও বার্ধক্য এখন তার শরীরে বাসা বেধেছে কিন্তু তার গ্ল্যামার এখনো তার পিছু ছাড়েনি। নতুন নতুন চেহারার পাশে নিজের এই অবস্থানকে সে যথেস্ট উজ্জ্ব্লতার সাথে এনরো করে নিয়েছে। মুভিটির সবকিছুই সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হলেও আমার কেন যেন মালিক আর তার কাজিনের সেক্স দেখার ইচ্ছা প্রচন্ড পরিমানে মনের ভিতর ঘুরপাক খেতে থাকে। জ্বালা ধরিয়ে দিয়েছে সেই ডায়ালগ- কাজিন- আমরা কিন্তু কাজিন মালিক- আজকের জন্য আমরা কাজিন না কাজিন- আজকের জন্য আমরা সত্যি সত্যি কাজিন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন