১২ আগস্ট, ২০১৪

পূর্বরাগের ইতিহাস লেখকঃ অাঁধারের কাব্য

-'জাহানারা কে বাদশা বেগম বানিয়েছিলো কে?'
-কে আবার?শাহানশাহ শাজাহান।
 - তাহলে,আমার বাবা আমাকে বেশি আদর করলে তোর গা জ্বলে কেন?
- জ্বলে। কারণ,আমাকেও বাবাইয়ের গুরুত্ব দেয়া উচিত।জাহানারার ভাইগুলোও হয়ত হিংসা করতো ওকে!
-বলেছে তোকে!ওরা তোর মতো ছিলো না।যা ভাগ্।কাল পরীক্ষা আছে। এই হলো আমার দিদি।টম-জেরী সম্পর্ক আমার সাথে। বড় মেয়ে।বাবার অনেক আদরের। আমাকেও বাবা আদর করেন। কিন্তু,দিদিকে বেশি। এটা নিয়ে মান অভিমানতো হতেই পারে! আমার কি দোষ? শুধু এটা নয়।সব ব্যপারে দিদির সাথে আমার ঝামেলা হয়।তবুও জানি।দিদি আমাকে প্রচন্ড ভালোবাসে। এইতো গত জন্মদিনে আমার জন্য নিজের হাতে বানানো সুয়েটার গিফ্ ট করলো।কত মমতা মেশানো সেটাতে। দুজনেই জানি দুজনকে কত ভালোবাসি। তবুও ঝগড়া করি।এটাই আমাদের অনেক প্রিয়। : · দিদি আমার চেয়ে দুবছরের বড়।বুয়েটে পড়ছে।আমিও কম না।মেডিকেলে পড়ছি। বাবা সবসময় ব্যস্ত থাকেন।ঢাবি'র একটা ডিপার্টমেন্টের চেয়ারম্যান।মাকেও হয়তো বাবা সময় দিতে পারেন না।অথচ বিয়েটা হয়েছিলো বাবার ইচ্ছাতেই। আমাদের দুভাইবোনের কারও প্রতিই মায়ের তেমন টান নেই।মনে নেই, শেষ কবে বাবার সাথে হেসে হেসে মাকে কথা বলতে দেখেছি। আমার মা!এখনও কত্ত সুন্দরী!মাঝে মাঝে আমি অবাক হয়ে ভাবি,উনি আমাদের গর্ভে ধরেছিলেন!অত সুন্দর মহিলাটা। মা কখনো আমাদের আদর করতেন না অমন করে। কোথায় যেন ছাড়া ছাড়া ভাব।ছোটতে বুঝিনি।বড় হয়ে খুব বুঝতে পারি। দিদিও কি আমার মতোই কষ্ট পায় এটা নিয়ে? কই!এ ব্যপার নিয়ে আমরা কখনো কথা বলিনি।যেন ধরেই নিয়েছি এটাই আমার কিংবা দিদির প্রাপ্য। দিদি তবুও বাবার ভালোবাসা পায়। কিন্তু,আমি?বঞ্চিত সেটা থেকেও। ছেলেরা মায়ের ন্যাওটা হয় এটাই নিয়ম। একনিঃশ্বাসে কত কথা বললাম!আমি কিন্তু এমন না।বাড়ির বাইরে কারোও সাথেই তেম ন । কথা বলিনা। আমাদের বাড়িতে আরও অনেকে আছে। বড়জেঠু আছে।জেঠিমা আছেন। ছোটকাকু আছেন।কাকীমা আছেন।মা কিন্তু আবার ইনাদের সাথে খুব হাসিখুশি। জেঠু বিচারপতি ছিলেন।আমাদের বাড়ির সব কিছু উনার কথাতেই চলে। আরেকজন আছে। জেঠুর ছেলে।দিদির চেয়ে তিনবছরের বড়। ছোটথেকেই ব্রিটেনে।মামার কাছে। শুনছি পড়াশুনা শেষ।এবার এসে বিয়ে করবেন। কাকীমা সবসময় অসুস্থ থাকেন। হাতের আঙুলগুলো কেমন ফ্যাকাশে।ঘর থেকে বের হন না! : বড়জেঠু আছে।জেঠিমা আছেন। ছোটকাকু আছেন।কাকীমা আছেন।মা কিন্তু আবার ইনাদের সাথে খুব হাসিখুশি। জেঠু বিচারপতি ছিলেন।আমাদের বাড়ির সব কিছু উনার কথাতেই চলে। আরেকজন আছে। জেঠুর ছেলে।দিদির চেয়ে তিনবছরের বড়। ছোটথেকেই ব্রিটেনে।মামার কাছে। শুনছি পড়াশুনা শেষ।এবার এসে বিয়ে করবেন। কাকীমা সবসময় অসুস্থ থাকেন। হাতের আঙুলগুলো কেমন ফ্যাকাশে।ঘর থেকে বেরর হন না! :· প্রায়ই দেখি অনেক রাতে ছাদে দাঁড়িয়ে থাকতে।সিগারেট খান তখন। এমনিসময় খান না।কাকুর কি তবে ব্যবসায় সমস্যা হচ্ছে? বাড়ির মধ্যে এই একটা মানুষই আমাকে প্রচন্ডস্নেহ করেন।আমার সব আবদার উনার কাছে। কাকুর বয়স ত্রিশের মতো। কিছুদিন থেকে মনে হয় বয়সটা অনেক বেড়ে গেছে। ও হ্যা!ছাদে আমিও রাতে দাঁড়িয়ে থাকি। কাকু দেখতে পায় না।একদিন তো মুখোমুখি হয়ে গেলাম। কাকু বললেন,'কে এটা?'
-আমি!
-ও।তুই! কাকু কেমন ঘোরলাগা চোখে তাকালেন আমার দিকে।মনে হচ্ছিলো আমার বুকে ধাক্কাদিলো সে চাওয়া! ভয় পেয়ে তাড়াতাড়ি নিচে গেলাম। পরদিন কাকু কিছুই বললো না!বুঝলাম যে উনি কোনও ঘোরের মাঝে আছেন।কি এমন কষ্ট উনার! সেদিন দুপুরে একটা কান্ড ঘটলো।একটা ছেলে ফোন করে দিদি ভেবে মাকে কিযেন বলেছে।সেটা নিয়ে বাজে অবস্থা! দিদিকে শাসন করা হলো প্রচন্ডরকম। পরদিন দিদি ক্লাসে যায়নি। বিকেলের দিকে একটা ছেলে বাড়ির সামনে দাঁড়ালো।তাকে ডেকে এনে জেঠু অনেক প্রশ্ন করলেন। আমি কিছু বুঝলাম না।শুধু ছেলেটার আসা আর যাওয়া দেখলাম। দিদির কপাল খুলে গেলো।রাতে খাবার টেবিলেই জানানো হলো দিদির বিয়ে। দিদিও বোধহয় জানতো না! বিষম খেলো! এতো কথা বলার কারণ এই বিয়েতেই জেঠতুতো ভাই আসছে। সেটাও বলা হলো খাবার টেবিলে। এবার মা বিষম খেলেন। বাবা আড়চোখে তাকালো দেখলাম। এও অদ্ভুত।আমি মাকে আপনি বলি,বাবাকে তুমি! পরদিন থেকে দিদির আহ্লাদ বেড়ে গেলো ষোলোগুণ।সবকিছুকেই ন্যাকামো। দুপুরেই ফোন এলো।কাকু নাকি বিয়ে করেছে। দিদি জেঠুর জন্য চা নিয়ে যাচ্ছিলো। আমি দেখলাম ও ইচ্ছে করে ই সিনেমার মতো চায়ের কাপ ফেললো!শব্দ করে সব ভেঙে গেলো। সবাই এটা নিয়ে ব্যস্ত,আর তখনি কাকুমণি আমার নাম ধরে ডাকতে ডাকতে ঢুকলেন। জেঠীমা রেগে বললেন, 'হতভাগা! কোন মুখ নিয়ে ঢুকেছিস!নতুন বৌকে নিয়ে রাস্তায় থাক।' কাকুন অবাক।ফ্যালফ্যাল করে সবার দিকে তাকাচ্ছেন।কাকীমা কাঁদছে। ততক্ষণে দেখলাম যে সাথে কেউ নেই। কাকু তখন বললো যে কেউ মজা করেছে হয়তো!এতক্ষণে এই টেনশনে সবাই মাধবদাদার আসার কথা ভুলে গেছিলাম। মা মনে করিয়ে দিলো।দাদাকে আনতে কাকুর সাথে আমি গেলাম। এই ব্যপারটাও অবাক লাগছিলো। মায়ের এতো আগ্রহ কেন?বহুদিন পর উনাকে এমন উত্তেজিত দেখছি। মাধবদাদাকে প্রথম দেখলাম। ছোটবেলায় হয়তো দেখেছি। মনে নেই। আজ তাই নতুন পরিচয়।ছবিও দেখিনি।মন থেকে শুধু একটা কথাই এলো,'এতদিন কোথায় ছিলেন?' মানুষ এত সুন্দরও হয়? দু একটা কথা বললেন আমার সাথে।কাকুর সাথেই বেশি। বাড়ি আসার পর সবার সে কি চাঞ্চল্য। আরও একবার যেন আমার চোখে আঙুল দিয়ে দেখালো আমি কত অবহেলার সবার! আমার মা!যিনি চুপচাপ থাকেন তিনিই মাধবদাকে নিজের ঘরে ডেকে নিয়ে গেলেন প্রচন্ড আগ্রহে। কি উত্তেজনা। জানি লুকিয়ে অন্যের কথা শোনা ভীষণ অন্যায়!তবু... যা শুনলাম বিশ্বাস হচ্ছিলো না। জেঠীমার ভাইয়ের সাথে মায়ের প্রেম ছিলো।কিন্তু,বিয়ে দেয়া হয় বাবার সাথে।মাধবদার মামা বিয়ে না করেই দেশ ছাড়েন।এখনো তিনি অবিবাহিত।সেটা শুনে মায়ের দুচোখে গর্ব দেখলাম।জলে টলটল করছে চোখ।কি সুন্দর! মাধবদা বললেন , 'মেজকাকীমা!মামা তোমাতে ক্ষমা করেছেন।বারবার আমাকে এটা বলতে বলেছেন।' আমি আর শুনলাম না! ছাদে গেলাম। কাঁদছি। অনেক কাঁদছি।কেন জানি মার উপর রাগ হচ্ছিলো না।এটুকু বুঝেছি যে সবার ভালোবাসাই বড়। কিন্তু,আমার কি দোষ?আমি কেন বঞ্চিত হবো? কাকু আসলেন।বললেন,'বাবুই!কাঁদিস না। মানুষের জীবনে এমন অনেক ঘটনাই থাকে!'
-কাকুন!তুমি জানতে?
-,হুম।দাদাও জানে। তোকে একটা সত্যি কথা বলবো। কাউকে এখনি জানাস না। আমি চোখ বড় করে তাকিয়ে থাকলাম।
-বাবুন! লক্ষ্মী সোনা। কাঁদবি না।তোর কাকীমা বাঁচবে না বেশিদিন।ডক্টর আমাকে বলেছে।এইজন্যই আমি অমন অস্থির থাকি। ওই দেখো!বললাম কাঁদবি না!তবুও! আমি কাঁদছিলাম।কত আদর করেন কাকীমা আমাকে! কাকাই মন ভালো করার জন্য বললেন,'তোর চোখ, মুখ,কান্না সব কিন্তু মেজবৌদির মতো!কি সুন্দর!' আমি তবু কাঁদছিলাম। কাকাই জড়িয়ে ধরে বললেন,'কাকীকে এতো ভালোবাসিস?বোকা!পৃথিবী তে কাউকে এতো ভালোবাসতে নেই। যত বেশি ভালোবাসবি,ততো কষ্ট পাবি।আমাকে দেখে বুঝিস না?' বুঝলাম!কাকুও কাঁদছে। আমার উপর দায়িত্ব পড়লো মাধবদাকে ঘুরে ঘুরে দেখাবো সব।ছুটি চলছে আমারও। আমি সত্যি সত্যি খুব খুশি হলাম। আমার মায়ের মধ্যেও ব্যপক পরিবর্তন দেকলাম। হাসিখুশি।বাবার সাথেও।আমাকে ডাকলেন।বললেন,'এত সুন্দর!তোকে আমার পেটে রেখেছিলাম?বিশ্বাসই হয় না! আর,মাকে আপনি আপনি করিস কেন?মা সবচেয়ে আপন জন।গাধা!' আমার সমস্ত অপূর্ণতা পূর্ণতা পেলো। প্রথমেই সিলেট যাওয়া ঠিক হলো। আমি কখনো ট্রেনে যাইনি।তাই ট্রেনে যাওয়ার বায়না ধরলাম।দিদির বিয়ের অনেক দেরী। মাধবদাও ট্রেনে যেতে রাজি! বাংলা ভালোই বলে। রাতের ট্রেনে উঠলাম।ফার্স্টক্লাস বাথে। দুজন একা।হালকা হালকা শীত। এসি চলছে। মাধবদা অমন কেন?বেশি কথাই বলছেন না! ট্রেনে উঠার পর থেকে একটু তবু ফ্রি হলেন। ইংল্যান্ডের গল্প করছিলেন। হঠাৎ,ফোন এলো।কথা বললেন। ইংরেজিতে।বুঝলাম অনেক কিছু। তবুও,উনি হেসে বললেন,'সিসি। আমি ওকে ভালোবাসি!'
-ও!কিন্তু,আপনাকে তো এখানে বিয়ে দেবে।
-বললেই হলো! সিলি ইন্ডিয়ান!এদের সাথে ইম্পসিবল। সিসি ইজ বেস্ট। আমার খুবই কষ্ট লাগলো। কোথায় ভেবেছিলাম এই কদিনে হয়তো আমাকে ভালোবাসবে!কি বোকা আমি! আমি তো একটা ছেলে!কেন ভালোবাসবে আমায়?কিন্তু,কিছু না ভেবেই আমার সমস্ত সত্ত্বা উনাকে দান করেছি।আমি আর কিভু না বলে শুয়ে পড়লাম।খুব কান্না পাচ্ছে। উনি কিছু বললেন না। ট্যাবে কি যেন করছেন।হয়তোবা সিসির কথা ভাবছেন। একটু চোখ ধরেছিলো।হঠাৎ, ঠান্ডার কারণে জেগে উঠলাম।দেখি মাধব দা গুটিসুটি হয়ে শুয়ে আছেন।ব্যাগ থেকে চাদর বের করে গায়ে দিয়ে দিলাম। কি নিষ্পাপ একটা মুখ। খোঁচাখোঁচা দাড়িগোঁফ!একটু সোনালি চুল। ডিমলাইটের আলোয় এতো মায়াবী লাগছিলো! সরে এলাম।শখ করে কষ্ট পেতে যাচ্ছি। কোনও মানে হয়? সকালে উঠেই বাসায় তৈরী নাশতা বের করলাম।ঠান্ডা হয়ে গেছে।ফ্রেস হয়ে এসেছি।ফ্লাস্ক বের করলাম।উনি উঠলেন। চোখ ঘষতেঘষতে বললেন,'গুড মর্ণিং!'
 -গুড মর্ণিং! আহারে!কি সুন্দর!ছোট্ট বাচ্চাদের মতো করছে।যেন ক্লাসে যাওয়ার জন্য মা ডাকছে ঘুম থেকে! উঠে গিয়ে ফ্রেশ হলেন! তারপর,অবাক চোখে নাশতার আয়োজন দেখলেন। জানালা খোলাতে হালকা রোদের সাথে বাতাসের ঝাপটা আসছিলো। বললেন,'তুমি ঠিক মেজকাকীমার মতো দেখতে!' আমি লজ্জা পেলাম।এটা সবাই বলে। একটু হেসে উনাকে খেতে দিলাম। খাওয়ার পরও দেখলাম তাকিয়ে আছেন। তখনও ফোন আসলো।সিসির নিশ্চয়! আমি সরে গেলাম। এখন তো ওখানে অনেক রাত হওয়ার কথা! তবুও!সিসি? দুপুরের আগে আগে সিলেট পৌঁছলাম। বাংলোতে উঠলাম।অন্যরা থাকায় আমাদের একটা রুম দিয়েছে। গোসলের কথাও বলে দিতে হচ্ছে বাবুসাহেবকে। উফ! বিকেলে বেড়াতে গেলাম আমরা। উনাকে সব ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে দেখাচ্ছিলাম।উনি ছবি তুলছিলেন। সন্ধ্যার পর ফিরলাম।এই শীতেও আমি গোসল করে আসলাম। উনি আবার অমন করে তাকিয়ে আছেন। বললেন,'তোমাদের দেখলে কেমন নিষ্পাপ লাগে!তোমার কি কোনও কষ্ট আছে? শুনেছি কষ্ট চাপিয়ে রাখলে সুন্দর হয়!' আমি হেসে কিছু বলতে যাচ্ছি তবুও আবার ফোন আসলো! সরে যাচ্ছিলাম।উনি হাত ধরে আটকালেন। কল কেটে দিলেন। আমি অবাকই হলাম। বললেন,'শী ইজ সো ইরিটেটিং।কিছু মনে করো না!' 'না না' বলে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে চলে গেলাম খাবার আনতে।আমি জানি কেউ আমার দিকে তাকিয়ে আছে।বোঝা যায়। থাকুক তাকিয়ে। রাতে খাওয়ার পর উনি বাইরে গেলেন।আমি ল্যাপটপে দেকলাম যে আজকের তোলা বেসিরভাগ ছবি আমার। কোথায় প্রকৃতি!আমি তো! তবে কি?না না। সিসি আছে তো! রাতে ঘুমুলাম একসাথে। গভীররাতে অনুভব করলাম কেউ একজন আমাকে বুকে জড়িয়ে নিয়ে আছে।আমার মনে খারাপ চিন্তা উঁকি দিলো।কিন্তু,উনি সত্যি অসাধারণ!এতটুকু অসম্মান হলো না। কি করে সম্ভব? পরদিনও আমি আগে উঠলাম।ফ্রেশ হয়ে নাশতা করে ঘরেই থাকলাম।বিকেলে বাইরে গেলাম।আজ আর গোপন নয়। সরাসরিই আমার ছবি তুলছেন। বললাম,'কি করছেন?আমার ছবি তুলছেন কেন?'
-বুঝবে না।তোমরা নেটিভরা খুব ভান করতে পারে।জেনেও জানো না!
- আমরা নেটিভরা কোনওকিছু নিয়ে খেলিনা। জীবনের সাথে জড়িয়ে ফেলি।
-সেটাই তো ভয়ের!সে যাক!তোমাকে একটা কথা বলবো।
-বলতে হবে না।
-বলতে চাই।না হলে কখনো বলা হবে না। আমি চোখ বন্ধ করলাম। বললেন,'চোখ খোল। তাকাও আমার চোখের দিকে!' আমি কাঁপাকাঁপা চোখে তাকালাম। যতইহোক। প্রথম অনুভূতি। উনি বললেন,'তোমাকে বলার জন্য তোমাদের একটা কবির কথা মুখস্থ করেছি। তোমা আমি জন্মে জন্মে চিনি, বিজয়িনী নহ তুমি,নহ ভিখারিণী, তুমি মম পূজারিণী,আমি তব কবি!' এরপর তো আর চুপ করে থাকা যায় না। বেশি ভাব নিতে গিয়ে যদি দেবতা ফিরে যায়? তাই আমি উনার বুকে মাথা লুকিয়ে বললাম,' এসো বঁধূ সুমধুর প্রীতিতে, চির জনম,রহো মোর স্মৃতিতে।

কোন মন্তব্য নেই:

আমাদেরও কিছু গল্প আছে। শোনার মত মানসিকতা কি আছে তোমার?

আমাদেরও কিছু গল্প আছে। শোনার মত মানসিকতা কি আছে তোমার?