দিন দুই পরের ঘটনা। বেলা এগারোটা বাজে। রোদের তেজ হালকা। আমরা চারজন নেমে পড়েছি পাথরখালির খালে। মৃতপ্রায় খাল। মাঝখানে কোমর পানি হবে। বেশীর ভাগ জায়গায় হাটু পানি। ভাইয়া তার ফ্রেন্ডকে বলে এসেছে গ্রামে তাকে তেল য়ালা কই মাছ খাওয়াবে। সেই উক্তিকে সত্যে বাস্তবায়ন করার জন্যই এখানে আসা। খালের বুক জুড়ে ফুটে রয়েছে অজস্র শাপলা। সাদা শাপলা, নীলচে সাদা শাপলা। চেউচির বন। এখানে জাল দিয়ে মাছ ধরে সুবিধা করা যাবে না। এটা রহিম আগেও বলেছিলো। কিন্তু মিয়া ভাই পাত্তা দেয় নাই রহিমের কথা। ইয়া বড় খ্যাওলা জাল কাঁদে করে আনাই বৃথা হয়েছে। জালখান বিলের পাশে রেখে আমরা নেমে গেলাম খালের হাটু পানিতে। হাতড়ে মাছ ধরার অন্য রকম আনন্দ আছে। মিয়া ভাই খুব মাছ ধরতে পারত। ভাই যখন হাইস্কুলে পড়ত তখন আমি বড়ওয়ানে পড়লেও আমার বেশ মনে আছে। মিয়া ভাই ডুব মেরে পুকুরের নিচের গর্ত থেকে মাছ ধরে আনত। সেবার সে ডুব মেরে এক গর্তে হাত ঢুকিয়েছে। সেই গর্তে ছিলো ইয়া বড় কাঁকড়া। কাঁকড়া তার দাঁড়া দিয়ে চেপে ধরেছে মিয়া ভাইয়ের বামহাতের তর্জনী। ডাঙায় উঠে আসার পরে সে এক রক্তারক্তি অবস্থা। আঙুল ফুটো করে দিয়েছে। সেই ক্ষত আজও হালকা রেখা এঁকে মিশে আছে মিয়াভাইয়ের আঙ্গুলের ডগায়।
আমরা শাপলা চেউচির গোড়ায় হাত দিয়ে মাছ তালাশ করছি। দ্বীপ্ত ভাইয়া খারাই হাতে পাড়ে বসে আছে। সেও নামতে চেয়েছিলো। মিয়া ভাই নামতে দেয় নাই। ট্যাংরা মাছে কাটা মারার ভয় দেখিয়ে বসিয়ে রেখেছে। মাঠ থেকে ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার পরে এখন মাঠ জুড়ে নাড়া । সেই নাড়া কিছু ছিড়ে এনে জড়ো করে তাকে বসতে দিয়েছে। কাঁদের গামছা খানা পাগড়ীর মত মাথায় জড়িয়ে নিয়েছে সে। আমাদের এলাকায় মাছ রাখার পাত্র কে খারাই বলে। অনেক এলাকায় এটাকে খালুই বলে। প্রথম মাছটি ধরা পড়ে মিয়া ভাইয়ের হাতে। বড় সাইজের একটা টাকি মাছ। মাছটা তিনি দ্বীপ্ত ভাইয়ার দিকে ছুড়ে দিলেন। পানির কিনারা থেকে কিছু উপরে গিয়ে পড়ল। দ্বীপ্ত ভাইয়া মাছটা দ্রুত তুলে খারাইয়ে রাখতে গেলো। কিন্তু টাকি মাছ বেশ পিছলা। এবং তিনিও মাছ ধরায় বেশ অপটু বোঝা গেলো। ঢাকা শহরের ধারে কাছে মনে হয় মাছ ধরার কোন জায়গা নেই। মাছটা দ্বীপ্ত ভাইয়ার হাত থেকে ফসকে গিয়ে পানিতে পড়লো। ভাইয়া ঠাঁঠা করে হেসে উঠলো। বন্ধুর দিকে চোখ টিপ মেরে বললো,- কিরে দীপ্ত, আজ পর্যন্ত এখনো টাকি মাছটাই ঠিকমত আয়ত্বে আনতে পারিস না।
দ্বীপ্ত ভাইয়াও সেই কথায় হেসে উঠলো। আমি আর রহিম কথার মানে বুঝলাম না। কিন্তু আমরাও হেসে দিলাম। দ্বীপ্ত ভাইয়া হাসতে হাসতে বললেন , তেলয়ালা টাকি পিছলাতেই পারে। ঘন্টা খানেকের ভেতর আমরা বেশ মাছ ধরলাম। কই মাছ, টাকি মাছ, শোল মাছ, পুটি মাছ, টেংরা মাছ, খলিশা মাছে আমাদের খালুই অর্ধেক ভরে গেছে। ভাইয়া বেশ কয়েকটা ঢ্যাপ তুলে দ্বীপ্ত ভাইয়ার দিকে ছুড়ে মারলো। শাপলার যে ফল হয় ওটাকে বইয়ের ভাষায় বলে শালুক। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে ওটা ঢ্য্যাপ নামেই পরিচিত। আমরা হাত ধুয়ে এসে সবাই বসে ঢ্যাপ খেয়ে নিলাম। ঢ্যাপের ভেতর অজস্র বিচি থাকে। এই বিচি খেতে ভালোই লাগে। যদিও অনেক বেশী খেলে পেট খারাপ করার সম্ভাবনা থাকে। শীতের রোদ ছুয়ে আসা একটা বাতাস বইছে। ঠান্ডা গরমের মিশেল। অনেকটা টক মিষ্টির মত। ভালোই লাগছে। আমি নাল সহ একটা শাপলা নিয়ে চেইন গাঁথা শুরু করলাম। চেইন গাঁথা শেষ হলে লক্ষ্য করলাম দ্বীপ্ত ভাইয়া সেটা বেশ মনোযোগ নিয়ে দেখছেন। আমি নালের মাথায় গিঁট দিয়ে দিলাম। হঠাৎ কোন কিছু না ভেবে সেটা দ্বীপ্ত ভাইয়ের গলায় পরিয়ে দিলাম। হঠাৎ একটু বিব্রত হলে তিনি নিজেকে দ্রুত সামলে নিলেন। হেসে উঠে বললেন, কি ছোট মিয়া ক্লাসের বান্ধবীদের কি এভাবে মালা পরিয়ে ছাড়ো নাকি। আছে নাকি কোন মালাবদলের গল্প। বলো শুনি। মিয়া ভাইয়ের সামনে আমার লজ্জা লাগলো। আমি কিছু না বলে পানিতে নেমে গেলাম মাছ ধরতে। একবার চোরা চোখে চেয়ে দেখলাম। দ্বীপ্ত ভাইয়া খালের উপর চেয়ে আছে। গলায় তার শাপলার চেইনে ঝোলানো মালা। নেকলেসের মত ঝুলছে শাপলা ফুলটা। এই মানুষটার প্রতি আমার অন্যরকম একটা টান এসে গেছে। তার দিকে তাকিয়ে থাকতে অন্যরকম ভালো লাগে। এই ভালোলাগাটা আমার কাছে অচেনা। অচেনা ধরনের এই ভালো লাগাটাকে আমি ঠিক বোঝাতে পারবো না। তার দিকে তাকাতে কেন ভালো লাগে বুঝি না। এটাকেই কি ফ্যান্টাসি বলে। চোরা চোখো, সোজা চোখে তার দিকে কতবার যে তাকিয়েছি তার ইয়ত্তা নাই। অনেকবার চোখাচোখি হয়ে গেছে। ভাইয়া হেসেছেন। আমিও লাজুক হেসে চোখ ঘুরিয়ে নিয়েছি।
মিয়া ভাই আর রহিম বেশ কিছুটা দূরে গিয়ে হাতড়ানো শুরু করেছি। আরেকবার তাকাতে গিয়ে দ্বীপ্ত ভাইয়ার চোখে চোখ পড়ে গেলো। তিনি উঠে পড়লেন। আমার দিকে হাঁটা শুরু করলেন। জিন্সের প্যান্ট হাটুর নিচ পর্যন্ত গোঁটানো। ফর্সা ধবধবে পা। হালকা কিছু পশম তাতে। আমার বুকের ভেতর ধুকপুক করছে। ভাইয়া এসে আমার পাশে উপুর হয়ে অপটু হাতে মাছ হাতড়ানো শুরু করলেন। হঠাৎ তিনি আমার নাম ধরে ডাকলেন। এই প্রথম। আমি তার দিকে তাকালাম। বড় মধুর সেই ডাক।- শুভ্র তুমি যে গতকাল থেকে আমাকে ভাইয়া বলে ডাকছো আমার বেশ ভালো লাগছে।
এই কথার পরে কি বলা উচিত আমি বুঝে উঠতে পারলাম না। চুপ করে থাকলাম।- শুভ্র তুমি দেখি মাঝে মাঝে আমার দিকে তাকিয়ে থাকো। তোমার চোখে মুগ্ধতা আছে। শহর থেকে আসা মানুষকে দেখে গ্রামের মানুষের এরকম মুগ্ধতা কখনো হয়ে থাকে। সেটা হেয়ার স্টাইল কিংবা পোষাকের কারণে হতে পারে। তোমার কোনটা ভালো লাগে।
এই প্রশ্নের উত্তর তো একটা দিতেই হবে। আমি বললাম,- ভাইয়া নীল কালার আপনার খুব পছন্দের।
- হুম। আকাশী নীল বেশী পছন্দের।
- নীল কালারের শার্টে আপনাকে খুব মানায়।- তাই?- জ্বি হ্যাঁ।
- তুমি আমার শার্ট দেখ?- হুম।
- ও তাহলে আমাকে দেখো না।
কি করে বলি ভাইয়া আমি শুধু তোমাকেই দেখি। দ্বীপ্ত ভাইয়া হা হা হা করে কিছুক্ষন হাসলেন। তারপর বললেন, তুই আমাকে ভাইয়া ডেকেছিস। সো আজ থেকে আর তুমি নয় তুই বলে ডাকবো। আর তুই সজলকে তুমি বলিস, আমাকে কেনো আপনি বলবি। আমাকে আপন ভাবতে পারিস না! আমাকে আজ থেকে তুমি বলবি। আপনাকে আপন ভাবতে তো আমার ভালোই লাগে। আমি মাথা উপরে নিচে মৃদু ঝাঁকিয়ে বললাম, জ্বি ভাইয়া।
আমরা শাপলা চেউচির গোড়ায় হাত দিয়ে মাছ তালাশ করছি। দ্বীপ্ত ভাইয়া খারাই হাতে পাড়ে বসে আছে। সেও নামতে চেয়েছিলো। মিয়া ভাই নামতে দেয় নাই। ট্যাংরা মাছে কাটা মারার ভয় দেখিয়ে বসিয়ে রেখেছে। মাঠ থেকে ধান কেটে নিয়ে যাওয়ার পরে এখন মাঠ জুড়ে নাড়া । সেই নাড়া কিছু ছিড়ে এনে জড়ো করে তাকে বসতে দিয়েছে। কাঁদের গামছা খানা পাগড়ীর মত মাথায় জড়িয়ে নিয়েছে সে। আমাদের এলাকায় মাছ রাখার পাত্র কে খারাই বলে। অনেক এলাকায় এটাকে খালুই বলে। প্রথম মাছটি ধরা পড়ে মিয়া ভাইয়ের হাতে। বড় সাইজের একটা টাকি মাছ। মাছটা তিনি দ্বীপ্ত ভাইয়ার দিকে ছুড়ে দিলেন। পানির কিনারা থেকে কিছু উপরে গিয়ে পড়ল। দ্বীপ্ত ভাইয়া মাছটা দ্রুত তুলে খারাইয়ে রাখতে গেলো। কিন্তু টাকি মাছ বেশ পিছলা। এবং তিনিও মাছ ধরায় বেশ অপটু বোঝা গেলো। ঢাকা শহরের ধারে কাছে মনে হয় মাছ ধরার কোন জায়গা নেই। মাছটা দ্বীপ্ত ভাইয়ার হাত থেকে ফসকে গিয়ে পানিতে পড়লো। ভাইয়া ঠাঁঠা করে হেসে উঠলো। বন্ধুর দিকে চোখ টিপ মেরে বললো,- কিরে দীপ্ত, আজ পর্যন্ত এখনো টাকি মাছটাই ঠিকমত আয়ত্বে আনতে পারিস না।
দ্বীপ্ত ভাইয়াও সেই কথায় হেসে উঠলো। আমি আর রহিম কথার মানে বুঝলাম না। কিন্তু আমরাও হেসে দিলাম। দ্বীপ্ত ভাইয়া হাসতে হাসতে বললেন , তেলয়ালা টাকি পিছলাতেই পারে। ঘন্টা খানেকের ভেতর আমরা বেশ মাছ ধরলাম। কই মাছ, টাকি মাছ, শোল মাছ, পুটি মাছ, টেংরা মাছ, খলিশা মাছে আমাদের খালুই অর্ধেক ভরে গেছে। ভাইয়া বেশ কয়েকটা ঢ্যাপ তুলে দ্বীপ্ত ভাইয়ার দিকে ছুড়ে মারলো। শাপলার যে ফল হয় ওটাকে বইয়ের ভাষায় বলে শালুক। কিন্তু সাধারণ মানুষের কাছে ওটা ঢ্য্যাপ নামেই পরিচিত। আমরা হাত ধুয়ে এসে সবাই বসে ঢ্যাপ খেয়ে নিলাম। ঢ্যাপের ভেতর অজস্র বিচি থাকে। এই বিচি খেতে ভালোই লাগে। যদিও অনেক বেশী খেলে পেট খারাপ করার সম্ভাবনা থাকে। শীতের রোদ ছুয়ে আসা একটা বাতাস বইছে। ঠান্ডা গরমের মিশেল। অনেকটা টক মিষ্টির মত। ভালোই লাগছে। আমি নাল সহ একটা শাপলা নিয়ে চেইন গাঁথা শুরু করলাম। চেইন গাঁথা শেষ হলে লক্ষ্য করলাম দ্বীপ্ত ভাইয়া সেটা বেশ মনোযোগ নিয়ে দেখছেন। আমি নালের মাথায় গিঁট দিয়ে দিলাম। হঠাৎ কোন কিছু না ভেবে সেটা দ্বীপ্ত ভাইয়ের গলায় পরিয়ে দিলাম। হঠাৎ একটু বিব্রত হলে তিনি নিজেকে দ্রুত সামলে নিলেন। হেসে উঠে বললেন, কি ছোট মিয়া ক্লাসের বান্ধবীদের কি এভাবে মালা পরিয়ে ছাড়ো নাকি। আছে নাকি কোন মালাবদলের গল্প। বলো শুনি। মিয়া ভাইয়ের সামনে আমার লজ্জা লাগলো। আমি কিছু না বলে পানিতে নেমে গেলাম মাছ ধরতে। একবার চোরা চোখে চেয়ে দেখলাম। দ্বীপ্ত ভাইয়া খালের উপর চেয়ে আছে। গলায় তার শাপলার চেইনে ঝোলানো মালা। নেকলেসের মত ঝুলছে শাপলা ফুলটা। এই মানুষটার প্রতি আমার অন্যরকম একটা টান এসে গেছে। তার দিকে তাকিয়ে থাকতে অন্যরকম ভালো লাগে। এই ভালোলাগাটা আমার কাছে অচেনা। অচেনা ধরনের এই ভালো লাগাটাকে আমি ঠিক বোঝাতে পারবো না। তার দিকে তাকাতে কেন ভালো লাগে বুঝি না। এটাকেই কি ফ্যান্টাসি বলে। চোরা চোখো, সোজা চোখে তার দিকে কতবার যে তাকিয়েছি তার ইয়ত্তা নাই। অনেকবার চোখাচোখি হয়ে গেছে। ভাইয়া হেসেছেন। আমিও লাজুক হেসে চোখ ঘুরিয়ে নিয়েছি।
মিয়া ভাই আর রহিম বেশ কিছুটা দূরে গিয়ে হাতড়ানো শুরু করেছি। আরেকবার তাকাতে গিয়ে দ্বীপ্ত ভাইয়ার চোখে চোখ পড়ে গেলো। তিনি উঠে পড়লেন। আমার দিকে হাঁটা শুরু করলেন। জিন্সের প্যান্ট হাটুর নিচ পর্যন্ত গোঁটানো। ফর্সা ধবধবে পা। হালকা কিছু পশম তাতে। আমার বুকের ভেতর ধুকপুক করছে। ভাইয়া এসে আমার পাশে উপুর হয়ে অপটু হাতে মাছ হাতড়ানো শুরু করলেন। হঠাৎ তিনি আমার নাম ধরে ডাকলেন। এই প্রথম। আমি তার দিকে তাকালাম। বড় মধুর সেই ডাক।- শুভ্র তুমি যে গতকাল থেকে আমাকে ভাইয়া বলে ডাকছো আমার বেশ ভালো লাগছে।
এই কথার পরে কি বলা উচিত আমি বুঝে উঠতে পারলাম না। চুপ করে থাকলাম।- শুভ্র তুমি দেখি মাঝে মাঝে আমার দিকে তাকিয়ে থাকো। তোমার চোখে মুগ্ধতা আছে। শহর থেকে আসা মানুষকে দেখে গ্রামের মানুষের এরকম মুগ্ধতা কখনো হয়ে থাকে। সেটা হেয়ার স্টাইল কিংবা পোষাকের কারণে হতে পারে। তোমার কোনটা ভালো লাগে।
এই প্রশ্নের উত্তর তো একটা দিতেই হবে। আমি বললাম,- ভাইয়া নীল কালার আপনার খুব পছন্দের।
- হুম। আকাশী নীল বেশী পছন্দের।
- নীল কালারের শার্টে আপনাকে খুব মানায়।- তাই?- জ্বি হ্যাঁ।
- তুমি আমার শার্ট দেখ?- হুম।
- ও তাহলে আমাকে দেখো না।
কি করে বলি ভাইয়া আমি শুধু তোমাকেই দেখি। দ্বীপ্ত ভাইয়া হা হা হা করে কিছুক্ষন হাসলেন। তারপর বললেন, তুই আমাকে ভাইয়া ডেকেছিস। সো আজ থেকে আর তুমি নয় তুই বলে ডাকবো। আর তুই সজলকে তুমি বলিস, আমাকে কেনো আপনি বলবি। আমাকে আপন ভাবতে পারিস না! আমাকে আজ থেকে তুমি বলবি। আপনাকে আপন ভাবতে তো আমার ভালোই লাগে। আমি মাথা উপরে নিচে মৃদু ঝাঁকিয়ে বললাম, জ্বি ভাইয়া।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন