২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১৪

অনু গল্প-২: তোমার পালা

রাত এগারোটা বাজে আকশে পূর্ণিমারআলোর ছড়াছড়ি চারপাশে শুনশান নিরবতা দূরের ঝোপ থেকেঝিঁঝি পোকাদের একটানা আওয়াজভেসে আসছেশুভ’ আজমন ভাল একটু বেশী ভাল অনুপমশুভ্র ব্যাংকে চাকরী করে ভালই বেতন পায় সে আর তার বউ পাঁপড়িরাজার হালেআছে বলতেগেলে বাড়তি কোন ঝামেলা নেই বাচ্চা কাচ্চা নেই বছর তিনেকের মধ্যে নেওয়ার তেমন কোন ইচ্ছেও নেই আজ শুভ্র’র প্রোমোশন হয়েছে জুনিয়র অফিসর থেকে তারর‍্যাঙ্ক এখনঅফিসার মনের ভিতর বসন্তবাতাস আজআকুপাকু করছে পাঁপড়ির জন্য দামী ঢাকাইয়া জামদানী শাড়ি কিনে এনেছে পাশের ঘরে পাঁপড়ি সেইশাড়ীটা পড়ছে

বাতাসে দরজার পর্দাঊড়ছে পর্দা সরিয়ে পাঁপড়ি সামনে এসেদাঁড়াল বিয়ের দেড় বছরেরমাথায় পাঁপড়িকেতার কাছেএখনো চিরনতুন বলেলাগে তারকাছে বুকের বামপাশে হালকাএকটা শীতলস্রোত অনুভবকরল সে খাট থেকে উঠে পাঁপড়িকেবুকে টেনেনিল তার পৌরুষদিপ্ত ঠোঁটের অত্যাচারে পাঁপড়ি বেসামাল হয়েগেল জগতের সব কিছু ভূলে গেলতারা প্রেম সাগরের ঢেউয়েভাসছে তারা শুধু তারা দুজন শুভ্র’ কেনা সাধেরশাড়ীটা ধুলোয়লুটোতে লাগ্ল সেদিকে ভ্রুক্ষেপকরার সময়নেই খাটের উপর তাদেরবিবস্ত্র দেহজোড়া পৃথিবীর মহানতম আদিম খেলায়মেতে উঠেছে

হঠাৎ পাঁপড়ি’ মনে হল, ঘরের ভিতর কিছুএকটা হাটছে শুভ্রকে সে থামানোর চেষ্টা করল কিন্তু শুভ্র এখনসুন্দরবন এক্সপ্রেসের গতিতে চলছে থামে কিভাবে পাঁপড়ি কোন মতে হাতবাড়িয়ে টেবিললাইটের সুইচটা জ্বালাল যা দেখল তাতেতারা দুজনচিৎকার দিতেগিয়েও থেমেগেল গলা দিয়ে স্বরনামছে না মনে হচ্ছে তারা বোবাহয়ে গেছে ঘরের ভিতর একজন অচেনাপুরুষ দাঁড়িয়ে আছে মুখে রুমাল বাঁধা লাদেনের চেলাদের মত তাদের দিকেপিস্তল বাগিয়ে আছে ধমক দিয়ে বলল, কোন শব্দনয়!

পাঁপড়ি-শুভ্র বুঝতে পারল তারাডাকাতের কবলেপড়েছে পাঁপড়ি মনে মনেভাবার চেষ্টা করল, নাহ দরজা-জানালা তো সে ঠিকই লাগিয়েছে তাহলে লোকটাফ্লাটের ভিতরঢুকল কিভাবে ডাকাতটা পাঁপড়ি আর শুভ্রকে সোফারচেয়ারে বেঁধেরাখল একজন পরপুরুষের সামনেবিবস্ত্র পাঁপড়ি বসে আছে তার লজ্জা করছিল সে কাপতে লাগল শুভ্র শরীরও সুগঠিত দুইহাত শক্তকরে চেয়ারে বাঁধা তার ইচ্ছে করছিলডাকাতটার দুইপায়ের মাঝে কষেএকটা লাথিমারতে পুরুষ হয়ে কেউপুরুষ মানুষকে অপমান করে ডাকাতটা তার বাসায় আলমারীর চাবি ছিনিয়ে নিল তন্ন তন্ন করেখুঁজেও খুববেশী টাকাপেল না শুভ্রর মুখে পিস্তলের বাটদিয়ে বাড়িমেরে বলল,
-      শালা, হারামজাদা ব্যাঙ্কে চাকরি করিসআর বাড়িতে টাকা থাকেনা কেমনকথা?

শুভ্রর হাসি পেল, বলল, ব্যাংকার যদি টাকাব্যাঙ্কে নারাখে তাহলেঅন্য লোকভরসা পাবেকিভাবে
ডাকাত টা মুচকি হাসল, বাড়িতে টাকা নাথাক, তোর সুন্দরী বউতো আছে তাকে দিয়েই না হয় আজকের খ্যাপউশুল হবে বলেই সে তার নিজেরপোষাক খুলতেশুরু করল পাঁপড়ির মুখ বাঁধা সে ফোঁপাতে লাগল শুভ্রও অক্ষম আক্রোশে হাতেরবাঁধন ছোটানোর চেষ্ট করল বিবস্ত্র লোকটা পাঁপড়িকে চেয়ারে বসা অবস্থায় তার দুইপা কাঁধেতুলে নিল পাঁপড়ির হাত বাঁধা আছে মুখের বাঁধন খুলে ডাকাতটা চুমুদিতে লাগল এসব লোকের সেক্স মুলতলজ্জাস্থান কেন্দ্রিক শৃংগার মৈথুনে তারা বেশীসময় ব্যয়করে না ডাকাত টাও তাই করল মিনিট দুয়েকের ভিতর কনডমবের করেফেলল শুভ্র অবাক হয়েখেয়াল করলডাকাতটার গোপনজিনিসের সাইজ ছেলে তুমি অবাক হয়েযাবে, বলবে ওয়াও পাঁপড়ির সামনে শুভ্রর কিছুটা লজ্জাকরতে লাগল



থ্রি এক্স সিনেমায় শুভ্র এরকমচেয়ারে বসাসেক্স দৃশ্যঅনেক দেখেছে, কিন্তু বাস্তব জীবনে সেনিজেও উপভোগকরে নাই না চাইলেও সে লোকটার প্রতিটার স্ট্রোক খেয়াল করেদেখছে বোঝা যাচ্ছে এইকাজে লোকটাবেশ অভিজ্ঞ মাসলমানের মতফিগার তার আধাঘন্টা পর সে থামল পাঁপড়ির কানে কানে কিছুযেন বলল তারপর কাঁধ থেকে পাঁপড়ির পা নামিয়ে বাথরুমে গেল ক্লান্ত বিব্ধস্ত পাঁপড়ি হাতবাঁধা অবস্থায় চেয়ারে মাথাএলিয়ে দিল শুভ্র ভাঙা গলায় জানতেচাইল, ডাকাতটা তোমার কানেকানে কিবলল

পাঁপড়ি ক্লান্ত গলায়উত্তর দিল, “লোকটা বললতোমার স্বামী দেখতে অনেককিউট তাকেআমার পছন্দহয়েছে এবার তোমার পালাশুভ্র

কোন মন্তব্য নেই:

আমাদেরও কিছু গল্প আছে। শোনার মত মানসিকতা কি আছে তোমার?

আমাদেরও কিছু গল্প আছে। শোনার মত মানসিকতা কি আছে তোমার?